মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবারও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। বুধবার আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদনটি দাখিল করেন তিনি। হাইকোর্টের আদেশের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন আবেদনে। সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অপরপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
তার আগের দিন সোমবার হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পান সাদিক আবদুল্লাহ। এর আগে নির্বাচন কমিশনে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। শুক্রবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা তাঁর প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করেন। সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবিতে আপিল করেছিলেন ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। নির্বাচন কমিশন সেই আপিল মঞ্জুর করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাদিক আবদুল্লাহ হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।
হলফনামায় সম্পদ বিবরণীতে অসত্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে বুধবার নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন জাহিদ ফারুক শামীমের মনোনয়নপত্রের সমর্থনকারী কে বি এস আহমেদ। তিনি আমেরিকার নাগরিক এবং সেখানে তাঁর স্ত্রীর বাড়ি থাকার তথ্য হলফনামায় গোপন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল।
বরিশাল মহানগরের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ ফারুক এবং সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। প্রতিমন্ত্রীর সমর্থক মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুর করীম জানান, হলফনামায় স্ত্রীর আমেরিকায় বাড়ি থাকার তথ্য গোপন করার অভিযোগে সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল চেয়ে যাচাই-বাছাইকালে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলেন। তবে এফিডেভিট আকারে না হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবেদন নাকচ করে সাদিকের প্রার্থিতা বহাল রেখেছেন। এরই মধ্যে তারা সাদিকের আমেরিকায় নাগরিকত্ব থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। সাদিকের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে অভিযোগের প্রমাণসহ ইসির আপিল বিভাগে আবার আবেদন করা হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, আমেরিকার নিউইয়র্কে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ভোটার নম্বর ৪১০৯০৪০০৭। ঠিকানা ৮৯-৬৮, ২১৫ প্লেস, কুইন্স ভিলেজ, নিউ ১১৪২৭। তাঁর স্ত্রী লিপি আবদুল্লাহর নিউইয়র্কে ভোটার নম্বর ৪১০৯১৪০৮৮। স্ত্রীর নামে নিউইয়র্কে বাড়ির ঠিকানা ৮৯-৬৮, ২১৫ প্লেস, কুইন্স ভিলেজ, নিউ ১১৪২৭, ব্লক ১০৬৫৮।